নেতাজী বিদ্যাপীঠ এ্যলুমনি এ্যাসোসিয়েশন পুনর্মিলনী উৎসব 'পিছুটান-৫'
গুয়াহাটি ১৪ ডিসেম্বর ১৯৪৪ সনে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের কিছু উৎসাহী কর্মচারীর উদ্যোগে গুয়াহাটি পান্ডু রেলওয়ে ইন্সটিটিউটের সমীপবর্তী একটি খড়ের ছাউনী দেওয়া কাঠামোতে শুরু হয় একটি এম. ই. বিদ্যালয়। দেশভাগের পরের বছর ১৯৪৮ সনের ২৩শে জানুয়ারি, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ৫১ তম জন্মদিনে এই বিদ্যালয়কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নামা করন করা হয়। ভারত মাতার উজ্জ্বল সন্তানের নামে নামাঙ্কিত হলো বিদ্যালয় - নেতাজী বিদ্যাপীঠ, সেই সঙ্গে একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের বিজ বপন হলো। যদিও সূচনাকাল ছিলো নিতান্তই সাদামাটা, অনাড়ম্বর - কিন্তু অচিরেই রাজ্যের শিক্ষা জগতে নিজের নামটি স্বর্ণাক্ষরে লিখতে নেতাজী বিদ্যাপীঠের বেশি সময় লাগেনি। ১৯৫৮ সনের পয়লা এপ্রিল বিদ্যালয়টি নব প্রতিষ্ঠিত এন. এফ. রেলওয়ের অধীনে আসে। ১৯৬২ সালে নেতাজী বিদ্যাপীঠের ঠিকানা বদল, বর্তমানের বিশাল পরিসরের নিজস্ব পাকা বাড়ীতে। ষাট, সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশক সাক্ষী থেকেছে বিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের। এমন বছর খুব কমই গেছে যখন ম্যাট্রিকুলেশনে ছাত্র ছাত্রীরা রাজ্যের প্রথম দশ বা কুড়িতে ছিলোনা।
নেতাজী বিদ্যাপীঠ ইতিমধ্যে ৭৫ বছর পেরিয়ে গেছে। গত ২০২৩ এর জানুয়ারীতে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছে বিদ্যালয়ের প্ল্যাটিনাম জুবিলী। ছাত্রছাত্রীদের গর্বের এই বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান 'পিছুটান-৫' আগামী ২৭ ও ২৮ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা ছাত্র ছাত্রীদের কাছে এ এক অনন্য অনুভূতি, পুনরায় শৈশব ও কৈশোর কে ছুঁয়ে দেখার। এই মিলন মেলার অঙ্গ হিসেবে প্রকাশিত হতে চলেছে স্মরনীকা 'পিছুটান'। প্রাক্তনীদের লেখা গল্প, কবিতা, স্মৃতিচারণ, আঁকা, প্রচ্ছদ ও অলংকরণে সেজে উঠবে এই পত্রিকা।
এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান 'পিছুটান-৫' আয়োজিত করছে নেতাজী বিদ্যাপীঠ এ্যলুমনি এ্যাসোসিয়েশন। সভাপতি শ্রী তাপস সূত্রধর জানাচ্ছেন যে বিগত ১৫ বছর ধরে এ্যাসোসিয়েশন বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের ছাত্র বৃত্তি ও বিভিন্ন বিষয়ে দিক্ নির্দেশনা দিয়ে নতুন প্রজন্ম কে উৎসাহিত করে চলেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের উন্নতি মূলক কিছু কাজের সঙ্গে এ্যাসোসিয়েশন নিজেকে যুক্ত রেখেছে। এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রসেনজিৎ বোস পুনর্মিলনী উৎসব 'পিছুটান-৫' এ যোগদানের জন্য সকল প্রাক্তনীদের আহ্বান জানান। এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আরো একবার সহপাঠীদের উষ্ণ সান্নিধ্য ও শিক্ষকদের স্নেহের পরশে নিজেদের সিক্ত করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

No comments