Header Ads

https://drive.google.com/file/d/1KYvwcVfpdZA0pOa_z8Gqbqub5aWa8YEk/view?usp=sharing.jpg

পাণ্ডুতে শত বছর পুরানো জলাশয় বেদখল নির্বিকার রেল প্রশাসন।



গুয়াহাটি ৯ ডিসেম্বর:-    জালুকবাড়ি সমষ্টি  ও জালুকবাড়ি থানা অন্তর্গত পান্ডু বিবিসি কলোনির প্রবেশ দ্বারে তিনটি বড় বড় শত বছর পুরানো জলাশয় রয়েছে। এই জলাশয় গুলি এখন বেদখলর কেবলে রয়েছে।  এছাড়া এই জলাশয় গুলিতে এলাকার মানুষ আবর্জনা  ফেলে। আবর্জনার গন্ধে এলাকা পরিবেশ দুর্গন্ধ ও জরাজীর্ণ সৃষ্টি হয়েছে। এই জলাশয় ও জলাশয়ের এর নিকটে ফেলা আবর্জনা গুলো মাঝে মাঝে জিএমসি থেকে নিষ্কাশন করে। কিন্তু প্রতিদিন জি এম সি থেকে জাবর নিষ্কাশন করা হয় না। এর ফলে ডেঙ্গু, মশা  সমস্যায় ভুগতে হয় সাধারণ মানুষেকে। এই এলাকায় বেশিরভাগ রেলওয়ে কর্মী বসবাস করে।

 এ বিষয়ে  রেল প্রশাসন নির্বিকার। একাকার স্থানীয় প্রবীণ নাগরিদের অভিযোগ প্রায় এক শত বছরের পুরানো  জলাশয় এই  জলাশযয়ের সঙ্গে এলাকার কলোনীর ড্রেনের সংযোগ আছে এই  জলাশয় বন্ধ হয়ে গেলে  পান্ডু এলাকায় কৃত্রিম বন্যা দেখা  দিবে। রেল বিভাগে বর্তমানে পান্ডু এলাকায়  (সিনিয়র সেকক্সান ইঞ্জিনিয়ার) ওয়েস্ট  ইনচার্জ দায়িত্বে আছেন অভিজিৎ নাগ ,(সিনিয়র সেকক্সান ইঞ্জিনিয়ার ) ইস্ট  ইনচার্জ দায়িত্বে আছেন সুব্রত দেবনাথ ও (সিনিয়র ডি ই এন) মালিগাও দায়িত্বে আছেন  গৌতম সিং,  তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন? তারা কেন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছেন। না কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িত হয়ে আছে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসে।



সবার উপরে দায়িত্বে আছেন ডি ই এন গুয়াহাটি তার নজরে  এই এলাকা গুলি আছে কিনা  সন্দেহ আছে। গত বছরে এই জলাশয়ের  রাস্তার পাশের একদিকে কিছু  সিমিন্টের পোস্ট লাগিয়ে রেল বিভাগ নিজের দায়িত্ব শেষ করে। জলাশয়ের বাকি তিন দিক খোলা ওখানে কোন  রেল বিভাগের  পোস্ট বা গেড়াও নেই।  রেলের পোস্ট ছাড়া  জলাশয়ের কিছু  অংশ বেদখল  এর হাতে।

 স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রবীণ নাগরিক পরিতোষ ধর  মতে এই তিনটি জলাশয়ে কলোনির নালার যোগ রয়েছে। কলোনির  যে সমস্ত নালা রয়েছে সেই নালার সমস্ত জল  এই জলাশয় পড়ে।  বিবিসি, আনন্দ নগর ও নিকটবর্তী এলাকায় আগে কৃত্রিম বন্যা হয়নি ।  গত কয়েক বছর ধরে বিবিসি, আনন্দ নগর ও নিকটবর্তী এলাকায় অল্প  বৃষ্টিতে কৃত্রিম বন্যায় প্লাবিত হয় । অল্প বৃষ্টিতেই  নালা ভর্তি হয়ে রাস্তায় জল জমে যায়। এক দিকে বেদখল চলছে অন্যদিকে জলাশয়ে জাবর ফেলে জলাশয় ভর্তি করা চলছে। জিএমসি থেকে রাস্তার পাশে জাবর গুলো উঠিয়ে নিয়ে যায় কিন্তু জলাশয়ের মাঝে পরে থাকা জাবর পরিস্কার হয় না। বর্তমানে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই জলাশয়গুলিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।জলকে আবদ্ধ করে রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে স্থানে স্থানে পুকুর নির্মাণ করা পরিকল্পনা চলছে। সেখানে পান্ডুতে শত বছর পুরানো জলাশয় বেদখল করে  বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কিছু মানুষ উঠে পড়ে লাগছে। এটা চিন্তার বিষয়। রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কেন এই সব সম্পর্কে কিছুই না দেখা ও জানার ভান করছেন?


 প্রবীণ নাগরিকদের বক্তব্য নালার  পথ সুচল রেখে  জলাশয় গুলি কৃত্রিম বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রেল বিভাগ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আবার অনেকের মতে  জলাশয় গুলি বিশেষ ব্যবস্থা করে চিলড্রেন পার্ক করে দিলে ভালো হয়।এর ফলে বাচ্চাদের একটা  খেলার জায়গা হবে।

এন এফ রেলওয়ে পেনশন অ্যাসোসিয়েশন ও  ( এস সি ও ডি এ) সাধারণ সম্পাদক শক্তিময় কাঞ্জিলাল বলেন পাণ্ডু মালিগাঁও এলাকায় প্রবীণ নাগরিক বেশির ভাগই রেলওয়ে ও অন্যান্য গভারমেন্ট এর অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাই এই এলাকায় বসবাস করে। এই  সকল অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ও সাধারণ  মানুষের সময় কাটানোর   জন্য কোন ব্যবস্থা নাই , সকালে মর্নিং ওয়াক রাস্তায় করতে হয়। সেখানে উদণ্ড গাড়ি চালকের ভয়।  কয়েক জন বন্ধু মিলে যে কোথাও বসে গল্প করবো তার কোন ভালো ব্যবস্থা নাই এ ছাড়া শিশুদের খেলা ধুলার ও পার্কের কোন ব্যবস্থা নাই। কিন্তু দেখা যায়  পাণ্ডু এলাকায় বহু পরিত্যক্ত ঘর জমি ,কোয়ার্টার, ও জলাশয় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ধীরে ধীরে এই জলাশয় গুলি  জমি কিছু  অসাধু লোকের কবলে  দখল ও দখল করার পরিকল্পনা চলছে। রেলওয়ে বিভাগ নির্বিকার।

এন এফ রেলওয়ে মালিগাও শাখার মাজদুর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কলিতা বলেন রেলওয়ে জলাশয়জমি, পরিত্যক্ত জমি ও কোয়াটার নিয়ে এক দুষ্ট চক্র বহু দিন থেকে  মুনাফা লুটছে রেলওয়ে বিভাগে ভিজিলেন্স ও আর পি এফ সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে জমিতে বড় বড় বিল্ডিং গড়ে উঠেছে। এই সকল ঘটনা নিয়ে উচ্চ বিভাগে তদন্ত হওয়া চাই। অতি শীঘ্রই রেলওয়ে পরিত্যক্ত জমিগুলো উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যবহার করা উচিত।


No comments

Powered by Blogger.