Header Ads

https://drive.google.com/file/d/1KYvwcVfpdZA0pOa_z8Gqbqub5aWa8YEk/view?usp=sharing.jpg

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলং আগমনের ১০৬ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ব্রুকসাইডে কবি প্রণামের আয়োজন


 
শিলং ১২ অক্টোবর:মেঘেদের রাজ্যের শিলং এ ঘিরে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি। বেশ কয়েকবার শিলং-এ এসেছিলেন তিনি। ১৯১৯ সালের বিক্ষুব্ধ ভারতে রবীন্দ্রনাথ  রাওলাট এক্ট, জালিয়াওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড ও সমস্ত অত্যাচারের  বিরুদ্ধতা করেছিলেন।  মানুষের কষ্ট তাকে ব্যথিত করে তুলেছিল । চারশ নিরস্ত্র নিরপরাধ ভারতবাসীর হত্যার  প্রতিবাদে তিনি এই বছর নাইটহুড ত্যাগ করেন ।তারপর মানসিক শান্তির খোঁজে আশ্রয় নেন শিলং পর্বতে ।কবির ঠিকানা ছিল রিলবংএর ব্রুকসাইট বাংলো। সেই সময় তিনি সেখানে রচনা করেছিলেন অন্য ধারার উপন্যাস ।

এই ঐতিহাসিক শহরের রিলবং অঞ্চলে অবস্থিত ব্রুকসাইড বাংলোত শনিবার  পালিত হল ‘ব্রুকসাইডে কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলঙে পদার্পণের ১০৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে শিলঙে তিন সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন। সেই সময় তাঁর বসবাসের স্থান ছিল ব্রুকসাইড বাংলো, যা রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেসিদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন।

 

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলঙের সাহিত্যিক, গবেষক, সাংবাদিক, স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মী এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা। কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয় ।
 
 পাঠ করা হয় কবিগুরুর লেখা শিলঙ অনুপ্রাণিত কবিতা ও গীতিকবিতা। পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রসংগীঅনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “ব্রুকসাইড কেবল একটি বাংলো নয়, এটি শিলঙের সাহিত্যিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল সাক্ষ্য।  শিলং এর রবীন্দ্র প্রেমীদের পক্ষ থেকে মালবিকা বিশারদ এর সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছেন ব্রুকসাইডে রবীন্দ্রনাথ দুটি ছোট গল্প লেখেন একটি দিন ও একটি চাওনি

অনুষ্ঠানের অন্যতম  আয়োজক শ্রীমতী মালবিকা বিশারদ  বলেন, “এই বাংলোর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রবীন্দ্র-স্মৃতি। আমাদের প্রজন্মের দায়িত্ব হল এই ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করা।”

উল্লেখ্য, যে অনেকদিন থেকেই এই বাংলোকে সংস্কৃতির ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার দাবি উঠেছে।



No comments

Powered by Blogger.